Description
সুন্দরবনের খলিশা ফুলের চাকের মধু যা মধুর জগতে স্বাদে অনন্য। খলিশা ফুল একটি সুন্দর ফুল যার বৈজ্ঞানিক নাম Aegiceras corniculatum। এই ফুলটি ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে পাওয়া যায়।
সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু বেশি জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় সেই সাথে এর দাম বেশি কারণ অন্য মধুর থেকে এর উৎপাদন অনেক কম।
খলিশা ফুলের মধু অতি সুস্বাদু এবং মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত। মে মাসের প্রথম দিকের মধু দেখতে চকচকে ও আকর্ষণীয় হলেও বাকি দুই মাসের মধু একটু কালচে বর্ণের হয়ে যায়। হালকা টকটক মিষ্টি লাগে, তবে এই মধু কিছুটা হালকা হয়ে থাকে।
সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য:
খলিশা ফুলের মধু বেশি দিন রাখলে লাল বর্ণের হয়ে যায়।
এই মধু কিছুটা হালকা হয়ে থাকে কিন্তু খুবই সুস্বাদু টকটক মিষ্টি।
এই মধু ফ্রিজে রাখলেও কখনো জমাট বাধেঁ না।
এটার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো একটু ঝাঁকুনি দিলে ফেনা হয় যায়।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সূরা “নাহল” নাজিল করেছেন যার বাংলা অর্থ হলো “মধু”। এই সূরার মাধ্যমে মধু উপকারিতা সম্পর্কে এবং মধু সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। হজমের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সেবন করুন।
পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।